OrdinaryITPostAd

হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় - রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি এই পোষ্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। আজকের বিষয় হচ্ছে হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় - রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে। তাহলে দেরি না করে চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

Hemoglobin in the blood

হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় - রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে যেহেতু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে। তাই সম্পূর্ণ পোস্ট করার জন্য অনুরোধ করা হলো। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনার উপকারে আসবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ

হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

বর্তমান সময়ে অনেক মহিলা ও পুরুষ হিমোগ্লোবিনের সমস্যায় ভুগে। কিন্তু তারা জানেও না তাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ সঠিক আছে কিনা। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তের হিমোগ্লোবিন এর সঠিক পরিমাণ বের করা হয়। রক্তের হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বের করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট করে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই রক্তের হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে জানেনা। কতটুকু হিমোগ্লোবিন থাকলে তা স্বাভাবিকভাবে দেখা যায় তা জানে না। তাই আজকে আপনাদের মাঝে রক্তে হিমোগ্লোবিন এর স্বাভাবিক মাত্রা ও রক্তে হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় তা বিস্তারিত তুলে ধরবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়,

আরো পড়ুনঃ চোখের এলার্জি দূর করার উপায় - চোখের এলার্জির ড্রপ এর নাম

পুরুষদের ক্ষেত্রেঃ পুরুষের ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক পরিমাণ হচ্ছে (১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম) যা অনেক পুরুষের মধ্যে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন থাকে না। এইমাত্রার চেয়ে কম হলে খুব শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

মহিলাদের ক্ষেত্রেঃ মহিলাদের ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিনের সামগ্রিক পরিমাণ হচ্ছে ( ১২ থেকে ১৫.৫ গ্রাম) যা অনেক মহিলাদের স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন থাকে না। এইমাত্র চেয়ে কম হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

উপরের মাত্রা অনুযায়ী আপনার শরীরে যদি রক্তের হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি রক্তদান করতে পারবেন। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন কিনা। যদি আপনার শারীরিক কোন সমস্যা না থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি রক্ত দিতে পারবেন।

আমাদের মাঝে অনেকেরই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের হিমোগ্লোবিন কম থাকে। তাই এবার আলোচনা করব রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ ও কিভাবে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ানো যায় এই সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ

রক্ত সঞ্চালনের জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকা অত্যন্ত জরুরী।বর্তমানে বিশ্বে মহিলারা বেশিরভাগ হিমোগ্লোবিনের অভাবে ভোগে। তাদের মাঝে অনেকের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে। সেক্ষেত্রে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, এছাড়াও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া মানে রক্তস্বল্পতার লক্ষণ। তাই রক্তের হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা সঠিক রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ না সবচেয়ে জরুরী। আপনি যদি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারেন আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর ওষুধ সেবন করবেন। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে প্রত্যেক রোগীকে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ওষুধ দিয়ে থাকে। বায়োফানজিন রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির অন্যতম একটি ওষুধ। আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াও এ ওষুধটি খেয়ে আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে পারেন। বায়োফানজিন সেবনের কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। যা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আস্তে আস্তে বোঝানো হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বায়োফানজিন সেবনের নিয়ম কানুন সম্পর্কে।

বায়োফানজিন সেবনের নিয়মঃ

  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ এক টেবিল চামচ পরিমাণ বায়োফানজিন দৈনিক তিনবার খাবার আগে বা পরে সেগুন করবে।
  • বাচ্চাদের ক্ষেত্রেঃ এক চা চামচ পরিমাণ বায়োফানজিন দৈনিক তিনবার খাবার আগে সেবন করবে।
  • বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ বায়োফানজিন খাওয়ার আগে মুখে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। বায়োফানজিন খাওয়ার পর আপনার শরীরে উন্নতি হয় সে ক্ষেত্রে বায়োফেনজিন খাওয়া কমিয়ে দিবেন।
উপরোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে আপনি ওষুধটি সেবন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সক্ষম হবে। ওষুধ সেবন ছাড়াও আপনি বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করলে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সক্ষম হবেন। কি খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ে তা এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন সম্পর্কে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন

যেহেতু হিমোগ্লোবিনের সাহায্যে রক্ত স্থানান্তরিত হয়, সে ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিন যেন কমে না যায় তার দিকে বেশ খেয়াল রাখতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে যে জানতে পারেন আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব সে ক্ষেত্রে আপনি ইনজেকশন ব্যবহার করতে পারেন। আপনি সর্বপ্রথম চেষ্টা করবেন রক্তে হিমোগ্লোবিন প্রাকৃতিক ও ওষুধের মাধ্যমে বৃদ্ধি করার।

যদি আপনি প্রাকৃতিক ওষুধের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি না করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি ইনজেকশন পুশ করতে পারবেন আপনার শরীরে। রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য। নিচে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন এর নাম ও ব্যবহার বলা হলো। চলুন দেখে নেওয়া যাক।

(HB-IV) Injection : মানুষের শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য বা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ইঞ্জেকশনটি পুশ করা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত যাদের আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া বা আয়রনের অভাব রয়েছে তাদের দেয়া হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই এটি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন। সে ক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে ইনজেকশন পুশ করবে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় কি।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়

রক্ত আমাদের দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আপনি এটিকে জ্বালানি হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারেন। রক্ত ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাই আমাদের শরীরের রক্ত ঠিক আছে কিনা পরিমাণ মতো আছে কিনা বা রক্তে হিমোগ্লোবিন বেশি না কম তা জানা অবশ্যই জরুরি।

তাই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শরীরের রক্তের পরিমাণ বা রক্তের হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে জেনে নিবেন। যদি আপনার শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যায় সেক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলো জেনে নিতে পারেন। করণীয় গুলো অবলম্বন করার ফলে আপনার শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ কাশির সিরাপ এর নাম - কাশির ট্যাবলেট এর নাম

রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে মানবদেহ দুর্বল হয়ে যেতে পারে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই রক্তের হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে জেনে নিবেন। আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক রাখতে পারেন। তাছাড়া খাবার খাওয়ার পরেও যদি হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক না হয় সে ক্ষেত্রে ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করতে পারেন। চলুন হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক রাখার কিছু খাবার তালিকা জেনে নেয়া যাক।

  • মাছ-মাংস
  • ডিম
  • ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
  • শস্য জাতীয় খাদ্য
  • সবজি
  • সামুদ্রিক খাবার
  • বিট
  • ডুমুর
  • বেদানা
  • কিসমিস
  • তিল
উপরোক্ত খাদ্যগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। এমন কিছু খাবার খাবেন না যেন আপনার শরীরের ক্ষতি করে। চেষ্টা করবেন সুষম খাবার খাওয়ার। চলুন এবার দেখি নেওয়া যাক, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া মানে আপনার শরীরের রক্ত কমে যাওয়া। যেমন জ্বালানি ছাড়া গাড়ি চলে না তেমনি রক্ত ছাড়া দেহ চলেনা। তাই সবসময় এর মত নিজের শরীরের খেয়াল রাখা যেমন জরুরী ঠিক ততটাই রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ কম না বেশি সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। নিচে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়ঃ

  • রক্তস্বল্পতাঃ রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রক্তস্বল্পতা। রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিবে। তার জন্য অবশ্যই রক্তের হিমোগ্লোবিন রাখতে হবে।
  • শারীরিক দুর্বলতাঃ রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে আরো একটি ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে মানবদেহে দুর্বলতা সৃষ্টি হয়। এই সময় মানুষ কাজ করতে পারেনা। সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে না। তাই এটিও একটি বড় সমস্যা।
  • খাওয়া অরুচিঃ রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে অনেকের খাওয়াতে অরুচি সৃষ্টি হয়। যার ফলে শরীর আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে শারীরিক দুর্বলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
  • শ্বাসকষ্টঃ রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে অনেক ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমন শ্বাসকষ্ট হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যাবে।
এতক্ষণ আপনারা রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত সমস্যাগুলো ছাড়াও আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। চলুন এবার দেখা যাক কি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে।

কি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে

ডাক্তারের কথা অনুযায়ী রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে তার মধ্যে সর্বপ্রথম টি হচ্ছে খাবার। আপনি যদি নিয়মিত ও পরিমান মত সুষম খাদ্য গ্রহণ করেন সেই ক্ষেত্রে আপনার হিমোগ্লোবিন কমবে না। আর যদি আগে থেকেই কম থাকে, সে ক্ষেত্রে নিচে যে খাবারের তালিকা দেওয়া হয়েছে সেগুলো ফুলের মত খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক হয়ে যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর খাবার তালিকা।

কি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়েঃ

  • মাছ-মাংসঃ রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর ক্ষেত্রে মাংস সবচেয়ে উপকারী একটি খাবার। মাংস খাওয়ার ফলে শরীরে প্রোটিন বৃদ্ধি পায় তার সাথে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক করে দেয়। মাংসের মধ্যে আয়রন হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • ডিমঃ ডিম আর একটি খাবার যা খাওয়ার ফলে রক্ত আয়রনের উপাদান বৃদ্ধি পায়। যার ফলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাই হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক করার জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়া জরুরি।
  • ভিটামিন সিঃ যেসব খাবারের ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি থাকে যেমন আপেল, আম, পেয়ারা ইত্যাদি খাওয়ার যা ভিটামিন সিএ পরিপূর্ণ যা খাওয়ার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 
  • সবজিঃ সবজির ক্ষেত্রে সবুজ শাক সবজি, টমেটো, হোমরা, পালং শাক, ইত্যাদি খাওয়ার ফলে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়তে থাকবে।
  • বেদানাঃ এমন একটি ফল যার মধ্যে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্লোরিন পাওয়া যায়। যা শরীরে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে।
উপরোক্ত খাবারগুলো পরিমান মত সময় মত খাওয়ার ফলে যাদের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন কম রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে রক্ত হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য সহায়তা করবে।

শেষ কথাঃ হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় - রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ

উপরে হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় - রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানার জন্য আমাদের পেজটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। এতক্ষণ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এভাবে আমাদের পাশে থাকবেন নিজেও উপকৃত হবেন ও অন্যকে উপকৃত করার জন্য পোস্টটি শেয়ার করবেন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪