OrdinaryITPostAd

এইডস কেন হয় - এইডস এর লক্ষণ ও কারণ - এইডস কিভাবে হয়

আজকের পোষ্টের মধ্যে আমরা আলোচনা করেছি এইডস কেন হয়, এইডস এর লক্ষণ ও কারণ এবং এইডস কিভাবে হয় এই সম্পর্কে। আপনি যদি না জেনে থাকেন এইডস কেন হয় এবং এইডস কিভাবে হয় তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্যই।

hiv virus

কারণ আজকে আমরা এই পোষ্টের মধ্যে এইডস রোগ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন এইডস কেন হয় এইডসের লক্ষণ ও কারণ এবং এইডস কিভাবে হয় বা ছড়ায়। তাহলে দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ে নেয়া যাক।

পোস্ট সূচীপত্রঃ এইডস কেন হয়, এইডস এর লক্ষণ ও কারণ এবং এইডস কিভাবে হয়

এইডস কেন হয় 

এইডস রোগ একটি ভাইরাস যাকে এইচ, আই, ভি (HIV) নামে পরিচিত।অনৈতিকভাবে দৈহিক মিলন ঘটালে এইডস রোগ হয়। আপনি যদি কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সেক্সুয়াল মিলন ঘটান তাহলে আপনার এই ধরনের এইডস রোগ হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ যক্ষা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

এই এইচআইভি ভাইরাস একজনের দেহ থেকে অন্যজনক দেহের প্রবেশ করতে পারে খুব সহজেই। কারণ আপনি যখন অনৈতিক মেলামেশা করছেন কোন প্রটেকশন ছাড়া তখন আপনার মিলনের মাধ্যমে তার শরীর থেকে আপনার শরীরে এ ভাইরাসটি সংক্রমণিত হচ্ছে।

এইডস এর লক্ষণ ও কারণ 

আপনাকে সর্বপ্রথম এইডস রোগের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কারণ আপনি যদি না জানেন এইডস রোগের লক্ষণ গুলো তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনি কোন রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। তাই সর্বপ্রথম যেকোনো রোগের আগে আপনাকে লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিয়ে নিতে হবে। 

আপনি যখন জানতে পারবেন এই লক্ষণের কারণে এই ধরনের রোগ গুলো হতে পারে তখন আপনি সেই রোগ সম্পর্কে জেনে তার প্রতিকার বা চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করবেন। আর এই তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা নেয়ার ফলে আপনার মারাত্মক মরণব্যাধি রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন। 

তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন যে কোন রোগের আগে লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়ে সেই রোগ সম্পর্কে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়া এবং তার চিকিৎসা করা। চলন তাহলে জেনে নিই এইডস রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা।

  • জ্বর এইডসরোগের প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর। দীর্ঘস্থায়ীভাবে জ্বর আপনার দেহে রয়ে যাবে।
  • ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা, আপনি যখন এইডস রোগে আক্রান্ত হবেন তখন আপনার শরীরে আপনি ক্লান্তি অনুভব করবেন এবং মাঝে মাঝেই আপনার মাথাব্যথা হবে।
  • লসিকা গ্রন্থির ফুলে যাওয়া, অর্থাৎ আপনার রসিকা গ্রন্থটি ফুলে যাবে এবং সেখান থেকে আপনি ব্যথা অনুভব করবেন এছাড়াও আপনার পেশী ব্যথা এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
  • ত্বকে ফুসকুড়ি অর্থাৎ আপনার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় পোস্ট করির মতন বের হবে।
  • বমি বমি ভাব, বমি হওয়া এবং ডায়রিয়া, এই এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আপনি ঘন ঘন বমি করবেন এবং ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবেন।
  • গলা ব্যথা এবং শুকনো কাশি এই দুইটি সিমটম আপনার মাঝে দেখা দিবে এইডস রোগে আক্রান্ত হলে।
  • রাতে হওয়া ঘাম অর্থাৎ আপনি যখন রাতে ঘুমাবেন তখন আপনি অল্পতেই অনেক ঘেমে যাবেন।
আপনি যখন এইডস রোগে আক্রান্ত হবেন তখন আপনার শরীরে বা দেহে এই ধরনের লক্ষণগুলো আপনি অনুভব করতে পারবেন বা দেখতে পাবেন। 

যখনই আপনার দেহে এই ধরনের লক্ষণগুলো দেখতে পাবেন তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিবেন অথবা ওষুধ সেবন করবেন। আশা করছি তাহলে এতোটুকু পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে গেছেন এইডস রোগের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা।

এইডস কিভাবে হয়

এইডস রোগ হয় মূলত আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অনৈতিকভাবে প্রটেকশন ছাড়া মিলন ঘটালে। আপনি যদি কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সহবাসে লিপ্ত হন তাহলে তার শরীরে থাকা সংক্রামিত ভাইরাস এইডস রোগটি আপনার শরীরে প্রবেশ করবে। 

অনেক সময় দেখা যায় আবাসিক হোটেলে অনেকজন তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য অনৈতিক মেলামেশা করতে যাই কিন্তু তারা প্রটেকশন বা কনডম ব্যবহার করেনা। প্রটেকশন বা কনডম ব্যবহার না করায় তাদের শরীরে থাকা ভাইরাস এইডস রোগটি তাদের শরীরে প্রবেশ করে। 

এবং সেই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে যদি তার সাথে অন্য কেউ দৈহিক মিলন করে তাহলে তিনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাবে। আশা করছি এতোটুকু পড়ার মাধ্যমে মোটামুটি ভাবে জানতে পেরে গেছেন এজ কিভাবে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।

এইডস রোগ থেকে বাঁচার উপায়

এইডস রোগ থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে সবচেয়ে বেশি যে ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে সেটি হচ্ছে অনৈতিক মিলন। কখনো কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অনৈতিক বা অসুরক্ষিত মেলামেশা করা যাবে না। কারণ আপনি যদি না জেনে কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অনৈতিকভাবে মেলামেশা করেন তাহলে তার শরীরে থাকা সংক্রমণিত ভাইরাস বা এইডস রোগ আপনার শরীরে প্রবেশ করবে।

এইডস রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি

এইডস বা এইচআইভি অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়, যা শরীরে ভাইরাসের প্রতিলিপি হওয়া বন্ধ করে কাজ করে। এটি ইমিউন সিস্টেমকে নিজেকে মেরামত করতে এবং আরও ক্ষতি প্রতিরোধ করতে দেয়।

এইচআইভি ওষুধের সংমিশ্রণ ব্যবহার করা হয় কারণ এইচআইভি দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে এবং প্রতিরোধী হতে পারে।

কিছু এইচআইভি চিকিৎসা একটি একক বড়িতে একত্রিত করা হয়েছে, যা একটি নির্দিষ্ট ডোজ সংমিশ্রণ হিসাবে পরিচিত, যদিও এটি প্রায়শই প্রেসক্রাইব করতে বেশি খরচ হয়।

সাধারণত, যাদের সবেমাত্র এইচআইভি ধরা পড়েছে তারা দিনে ১ থেকে ৪টি বড়ি খেতে বলা হয়।

এইচআইভি ওষুধের বিভিন্ন সংমিশ্রণ বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য কাজ করে, তাই আপনি যে ওষুধটি গ্রহণ করেন তা আপনার জন্য পৃথক হবে।

আপনার রক্তে এইচআইভি ভাইরাসের পরিমাণ (ভাইরাল লোড) পরিমাপ করা হয় যে চিকিত্সা কতটা ভাল কাজ করছে। একবার এটি আর পরিমাপ করা যায় না এটি সনাক্তযোগ্য হিসাবে পরিচিত। বেশিরভাগ লোকেরা দৈনিক এইচআইভি চিকিত্সা গ্রহণ করে চিকিত্সা শুরু করার 6 মাসের মধ্যে একটি অনির্বাচিত ভাইরাল লোডে পৌঁছায়।

এইচআইভির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত অনেক ওষুধ আপনার জিপি দ্বারা নির্ধারিত বা কাউন্টার থেকে কেনা অন্যান্য ওষুধের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

এর মধ্যে রয়েছে কিছু নাকের স্প্রে এবং ইনহেলার, সেন্ট জন'স ওয়ার্টের মতো ভেষজ প্রতিকার, সেইসাথে কিছু বিনোদনমূলক ওষুধ। অন্য কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে সর্বদা আপনার এইচআইভি ক্লিনিক স্টাফ বা আপনার জিপির সাথে চেক করুন।

এইডস রোগের ওষুধের নাম

এইডস রোগের আরবের জন্য যে ওষুধটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে সে ওষুধ টার নাম জেনে নিন। কারণ এই ওষুধ সম্পর্কে যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে আপনি গুগলের সার্চ করে জানতে পারবেন ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং এর প্রতিকার

আর আপনি যখন ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন তখন আপনি বাজার থেকে বাজে কোন ফার্মেসি থেকে এ ওষুধ ক্রয় করে আপনি সেবন করতে পারবেন। বছরটি সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন কারণ তারা জানে তাদের এ ধরনের ওষুধ বা এ ধরনের রোগে কিভাবে এবং কত পরিমানে ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন পড়ে।

এখন তাহলে চলুন জেনে নিই কোন ওষুধটি খাওয়ার মাধ্যমে এইডস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এইডস রোগের ওষুধ হল 'প্রি এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস'(প্রেপ)। গবেষণায় জানা যায় এই ওষুধটি সেবন করার মাধ্যমে এইড জনিত রোগ খুব দ্রুতই আরোগ্য হয়ে যায়। এটি একটি ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ যেটি আবিষ্কার করতে প্রায় প্রচুর পরিমাণে সময় ব্যয় করতে হয়েছে।

আশা করছি তাহলে এতক্ষণে জানতে পেরেছেন এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন ধরনের ওষুধ বা ট্যাবলেট খাওয়ালে সেই রোগ থেকে মুক্তি পাবে। এখন আপনি যদি এইডস রোগে আক্রান্ত হন বা আপনার আশেপাশের বা আত্মীয়-স্বজন কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে আপনি এই ওষুধ সম্পর্কে তাকে ধারণা দিতে পারবেন এবং তাকে জানাতে পারবেন এই ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে কোন ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায়।

সর্বশেষ কথা-এইডস কেন হয়

এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল এইডস কেন হয়, এইডস এর লক্ষণ ও কারণ এবং এইডস কিভাবে হয় এই সম্পর্কে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এইডস রোগ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য আপনি পেয়ে গেছেন। এখন আপনি এইডস কেন হয়, এইডস এর লক্ষণ ও কারণ এবং এইডস কিভাবে হয় এই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য গুলো নিজেও জানলেন এবং অন্য কেউ জানাতে পারবেন।

পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটু ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন। কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এবং আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন, কারণ তারা এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এইডস কেন হয়, এইডস এর লক্ষণ ও কারণ এবং এইডস কিভাবে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরও তথ্য পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪