OrdinaryITPostAd

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম - সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

এমন অনেক তথ্য আছে যেগুলো পরিবারের সাথে শেয়ার করার মত না। কিন্তু সেই তথ্যটি আপনার জানা অত্যন্ত জরুরী। আর আপনাকে এই গোপনীয় তথ্যগুলো জানানোর জন্য আমাদের পোস্টগুলো লেখা হয়। আর আপনি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন গর্ব অবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম কানুন।

Intercourse during pregnancy

এমনকি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম কানুন অর্থাৎ কোন নিয়ম কানুন গুলো মেনে সহবাস করলে তার জায়েজ হয়। আপনি যখন সহবাস করবেন তখন কোন অবস্থায় এবং কিভাবে সহবাস করবেন এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে নিন। কারণ সঠিক নিয়মে যদি আপনি সহবাস না করতে পারেন তাহলে আপনি এবং আপনার সঙ্গিনী বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম এবং সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

আপনারা অনেকেই জানেন না কিভাবে গর্ভাবস্থায় সহবাস করতে হয়। আবার কোন কোন নিয়ম কানুন গুলো মেনে সহবাস করলে সেটি ইসলামে জায়েজ হয়। যদিও এই তথ্যগুলো আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা তবে যারা জানেন না তাদেরকে জানানোর জন্য আজকের পোস্টটির সম্পূর্ণ লেখ হয়েছে। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে বা কোন নিয়মে গর্বআবস্থায় সহবাস করতে হয়।

আপনি যদি সঠিক নিয়ম-কানুন না মেনে গর্ব অবস্থায় সহবাস করেন তাহলে আপনি আপনার সহধর্মিনী কে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই চেষ্টা করবেন সহবাস করার পূর্বে সমস্ত নিয়ম কানুন গুলো মেনে সহবাস করা। আমরা অনেকেই মনে করি স্ত্রী যখন গর্ভাবস্থায় থাকে তখন তার সাথে কোন মেলামেশা বা শারীরিক সম্পর্ক করলে নবাগত সন্তানের কোন সমস্যা হয়। এটা আপনার একদমই ভুল ধারণা। 

আরো পড়ুনঃ বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়

বিশেষ করে এই ধরনের প্রশ্ন নারীদের মধ্যেই আসে তারা ভাবে গর্ব অবস্থায় মিলন করলে তাদের নবাগত সন্তানের সমস্যা হতে পারে। দৈনন্দিন চলাফেরার মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আমাদের মাথায় এসে জেঁকে বসে। তবে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকি। তবে এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা আপনাদের বলব গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কোন ধরনের সমস্যা হয় না। 

এই প্রসঙ্গে পবিত্র আল কুরআনের সূরা বাকারার ২২৩ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তা'আলা লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন, 

"তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে বিচরণ করো"। (সুরা বাকারা – ২২৩)

উপরোক্ত আয়াতটি দ্বারা বোঝা যায় আমাদের মুসলিম দম্পতিরা যখন ইচ্ছে যেভাবে ইচ্ছে স্ত্রী সহবাস করা যাবে সেটা হোক গর্ভাবস্থায় কিংবা যৌন অবস্থায়। কাজেই গর্ভাবস্থায় স্বামী-স্ত্রী যদি সহবাসে লিপ্ত হয় তাহলে সেটিও ইসলামে জায়েজ করে দেয়া হয়েছে। তবে একটি কথা মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি গর্ব অবস্থায় সহবাসের ক্ষেত্রে কেবল দুইটি বিষয়ের লক্ষ্য রেখে সহবাস করা উচিত।

আর এই দুইটি সময় যদি আপনি স্ত্রী সহবাস করেন তাহলে আপনার স্ত্রীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নিই কোন অবস্থায় স্ত্রী সহবাস বা গর্ব অবস্থায় স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে না। 

  • প্রথমটি হল, স্ত্রীর সাথে পায়ুকাম বা অ্যানাল সেক্স করা যাবে না
  • আর দ্বিতীয় টি হল, স্ত্রীর মাসিক ঋতুস্রাব চলাকালে সহবাস করা যাবে না

আর এই দুইটি ক্রিয়াকে বা সময়কে নিষেধ ঘোষণা করে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এরশাদ করেন,

"যে ব্যক্তি ঋতুস্রাবগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে বা স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করলো বা গণকের কাছে এসে তার কথা বিশ্বাস করে নিলো, সে প্রকৃত পক্ষে মুহাম্মাদের উপর অবর্তীণ সবকিছু অস্বীকার করলো"। ( তিরিমিযি – ১৩৫ )

আবার ইহরাম ও রোজা অবস্থায় ইসলামী স্ত্রী সহবাসকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া যে কোন সময় যেকোনো অবস্থায় আপনার স্ত্রীর সাথে আপনি সহবাস করতে পারবেন। আর তাই গর্ভাবস্থায় সহবাস করতে কোন আপত্তি নেই এটা ইসলামে জায়েজ বলে গণ্য করা হয়।

যদিও ইসলামে গর্ভ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করার ক্ষেত্রে আলাদা কোন নিয়ম-কানুন তৈরি করা হয়নি তবে গর্ভাবস্থায় স্ত্রী সহবাস করার পূর্বে অবশ্যই একটু বাড়তি সতর্কতার মাঝে সহবাস করবেন। কিভাবে সহবাস করলে আপনার স্ত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হবে না সেইভাবে সহবাস করার চেষ্টা করবেন। তাছাড়া আপনি যদি সতর্কতা অবলম্বন না করে সহবাস করেন তাহলে আপনার স্ত্রীর গর্ভে সন্তানের কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

তবে এই কথাটি মাথায় রাখবেন, গর্ভাবস্থায় হোক কিংবা গর্ভ অবস্থায় না থাকা হোক স্ত্রীর পিছনের অংশ বা নিতম্ব দিয়ে সহবাস করা যাবে না। এই ব্যাপার গুলো মাথায় রেখে আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবেন।

এছাড়াও গর্ভ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করার পূর্বে এই সমস্ত কথাগুলো আপনার জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ আপনার স্ত্রী যদি গর্ভবতী হয় এবং তার সাথে যদি আপনি শারীরিক মেলামেশা করতে চান তাহলে আপনাকে এই সমস্ত কথাগুলো মাথায় রেখে সহবাসে লিপ্ত হতে হবে।

যদি আপনার স্ত্রীর গর্ভকালীন সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে, তাহলে আপনি সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করে সহবাস করলে কোন প্রকার বিপত্তির সম্ভাবনা থাকবে না।

স্ত্রীর সাথে সহবাস করার সময় স্বাভাবিকভাবে নাড়াচাড়া করলে গর্ভের শিশুর কোন ক্ষতি করে না। কারণ গর্ভের শিশু তলপেটে এবং জরায়ের সাথে শক্ত পেশি দিয়ে সংরক্ষিত থাকে।

সহবাসের সময় পুরুষের গোপনাঙ্গ স্ত্রীর গোপনাঙ্গে প্রবেশ করার সময় শিশুর কোন ধরনের ক্ষতি হয় না। কারণ পুরুষের গোপনাঙ্গ স্ত্রীর পেটের শিশুর অব্দি পৌঁছাতে পারে না। তাই শিশুর কোন ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

এমনকি সহবাসের পর যখন অর্গাজম হয় তখন বাচ্চার নড়াচড়া বৃদ্ধি পেয়ে যাই। এটা হয় অর্গাজমের পর আপনার হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার কারণে। সহবাসের ফলে বাচ্চার কোন অসুবিধার কারণ নয়।

আরো পড়ুনঃ যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায়

আশা করছি উপরোক্ত তথ্যগুলোর সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন। এখন আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে গর্ব অবস্থায় কিভাবে সহবাস করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার উপকারিতা রয়েছে। আপনার স্ত্রী যখন গর্ভবতী অবস্থায় থাকে তখন যদি আপনার স্ত্রীর সাথে শারীরিক মিলন ঘটান তাহলে কয়েকটি উপকারিতা লাভ করবে। তবে সেই উপকারিতা লাভ করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে হবে। আপনার জেনে নেয়া জরুরী যে কোন সময়ে স্ত্রী সহবাস করলে উপকারিতা লাভ করা যায়। এবং গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কোন কোন উপকারিতা গুলো লাভ করা যায়। চলুন তাহলে জেনে নিই গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কোন উপকারিতা গুলো পাওয়া যায়।

  • দেহে রক্ত সংবহনে সাহায্য
  • আরও ভালো তৃপ্তি এবং আরও ভাল অর্গাজম
  • পেলভিক ফ্লোর পেশীকে শক্তিশালী করে
  • অনাক্রম্যতা উন্নতি করে এবং রোগপ্রতিরোধ বাড়ায়
  • দম্পতির মধ্যে থাকা বন্ধনকে উন্নত করে
  • রক্তচাপ কমায়
  • আত্মমর্যাদা উন্নতি করে
  • মূত্রের লিকেজ কমানো এবং মূত্রথলিতে ভালো নিয়ন্ত্রণ
  • প্রসবোত্তর আরোগ্যলাভ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে
  • প্রসব শ্রম এবং সহজ প্রসবে সহায়তা

গর্ব অবস্থায় আপনি যদি স্ত্রী সহবাস করেন তাহলে আপনি বা আপনার স্ত্রী এই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন। কি সহবাস করার পূর্বে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে করার চেষ্টা করবেন। এমনকি আপনার স্ত্রী যেন আঘাতপ্রাপ্ত না হয় অর্থাৎ সহবাস করার ফলে আপনার স্ত্রীর পেটে থাকা সন্তানের যেন কোন ধরনের ক্ষতি হয় সেদিকে খেয়াল রেখে স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে হবে। আশা করছি উপরোক্ত তথ্যগুলো করার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে কি কি উপকারিতা গুলো লাভ করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।

গর্ভাবস্থায় কখন সহবাস করা যাবে না

যদিও গর্ব অবস্থায় সহবাস করার ফলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা লাভ করা যায়। তবে অনেক সময় আছে যে সময়গুলোতে আপনি যখন আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবেন গর্ভাবস্থায় তখন উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হবে। আপনার জেনে নেয়া অত্যন্ত জরুরি যে কোন সময়গুলোতে সহবাস করা যাবে না। অর্থাৎ স্ত্রী যখন গর্ভাবস্থায় থাকবে তখন কোন কোন সময় গুলো হলে তার সাথে কোন ধরনের সহবাস করা যাবে না। তাহলে চলুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় কখন আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে না।

  • আপনার স্ত্রীর গর্ভে যমজ বা তারও বেশি শিশু রয়েছে
  • আপনার স্ত্রীর প্লাসেন্টা জরায়ুতে খুব নিচে রয়েছে
  • আপনার স্ত্রীর জরায়ু ছোট বা জরায়ুর অক্ষমতা রয়েছে।
  • আপনার স্ত্রী গর্ভপাতের ঝুঁকিতে রয়েছেন বা আগে গর্ভপাত হয়েছে
  • আপনার স্ত্রী অ্যামনিয়োটিক থলিতে একটি ফেটে যাওয়া ঝিল্লি রয়েছে
  • আপনার স্ত্রী অকাল প্রসবের ঝুঁকিতে আছেন
  • আপনার স্ত্রী কোনো অজানা কারণে ক্র্যাম্প হচ্ছে এবং রক্তপাত হচ্ছে
  • আপনার স্ত্রীর জরায়ু খুব তাড়াতাড়ি প্রসারিত হয়েছে

উপরোক্ত দেয়া এই সময়গুলোতে আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে কোন ধরনের মেলামেশা বা সহবাস করতে পারবেন না। যদিও করেন তাহলে আপনার স্ত্রী বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন এই সময় গুলোতে স্ত্রীর সাথে মেলামেশা বা সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে।

সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

অনেক ধর্ম প্রেমিক মানুষ আছে যারা কিনা জানতে চাই সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম। ইসলামে কিভাবে সহবাস করলে জায়েজ হবে সেই সম্পর্কে অনেকেই অনেক রকমের চিন্তাভাবনা করে থাকেন। আবার অনেকেই মনে করেন ইসলাম মনে হয় অন্যরকম ভাবে সহবাস করার নিয়ম কানুন তৈরি করে দিয়েছে। আর এই প্রসঙ্গে পবিত্র আল কুরআনের সূরা বাকারার ২২৩ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তা'আলা লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন,

"তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে বিচরণ করো"। (সুরা বাকারা – ২২৩)

এই কথা দ্বারা বোঝা যায় কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করতে পারবে। অর্থাৎ একজন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে মিলন বা সহবাস করার সময় তার ইচ্ছা মতো সহবাস করতে পারবে। আর ইসলামে সহবাস করার জন্য কোন নিয়ম কানুন বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়নি। তবে কিছু বাধ্যতামূলক কথা বলা হয়েছে যে কথাগুলো মেনে চলার মাধ্যমে আপনার এবং আপনার স্ত্রী সহবাস করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

যেমন ইসলামে বলে সহবাস করার সময় কখনোই স্ত্রীর পেছনের অংশে বা নিতম্বের সহবাস করা যাবে না। আবার সহবাস করার সময় স্ত্রী নিচে থাকবে এবং স্বামী উপরে। এই ধরনের নিয়ম কানুন গুলোই ইসলামের খাতে বেশিরভাগ দেখা যায়। তাছাড়া কোন ধরনের নিয়ম-কানুন নাই বললেই চলে। কারণ আপনার স্ত্রীকে আপনি কিভাবে পরিচালনা করবেন সেটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে খেয়াল রাখবেন সহবাস করার সময় আপনার স্ত্রী যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

এরপর ইসলাম বলে সহবাস করার পূর্বে অবশ্যই দোয়া পড়তে হবে কারণ। সহবাস করার সময় বিভিন্ন সময় দেখা যায় শয়তানের অসীহত লেগে যায় আর এই শয়তানের ওশি হতে আপনার সহবাসে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি সহবাস করার ফলে আপনার স্ত্রীর গর্ভে যে সন্তান আসবে সেই সন্তান শয়তান এর ওসিহতে আটকা পড়ে যাবে। তাই কোরআনুল কারীমে বা হাদিসের মধ্যে কিছু দোয়া আছে যে দোয়াগুলো পাঠ করার মাধ্যমে আপনার সহবাসে কোন ধরনের বাধা প্রাপ্ত বা শয়তানের ওসিহতে পড়বেন না।

আপনি হয়তো জানেন শয়তান মানুষের শিরা শিরায় অবস্থান করে। আর এই শয়তান আপনার সহবাসের সময় বাধা প্রাপ্ত করতে পারে। তাই এই শয়তানের হাত থেকে বাঁচার জন্য সহবাসের পর্বে এই দোয়াটি পাঠ করবেন। সহবাসের পূর্বে এই দোয়াটি পাঠ করার মাধ্যমে আপনার সহবাসে শয়তানের কোন ওসিহত পড়বে না।

بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

বাংলা উচ্চারণঃ "বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা"।

বাংলা অনুবাদঃ "হে আল্লাহ! তোমার নামে (যৌন মিলন বা সহবাস) আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের (স্বামী-স্ত্রী উভয়ের) কাছ থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবেন, সে সন্তানকেও শয়তান (যাবতীয় আক্রমণ) থেকে দূরে রাখ"।

ইসলামী সহবাস করার জন্য যে নির্দেশনাগুলো দিয়ে থাকে সেগুলো হল, সহবাস করার পূর্বে স্বামী স্ত্রী উভয়ে পাক-পবিত্র হয়ে সহবাস করতে হবে। অর্থাৎ সহবাসের পর্বে স্বামী স্ত্রী উভয়ে তাদের শরীরের সমস্ত দুর্গন্ধময় অঙ্গগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করবে এবং শরীরে পারফিউম বা আতর ব্যবহার করতে পারে। এর দ্বারা সহবাসের ইচ্ছা স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। এটা কেউ সহবাসের ইসলামিক নিয়ম বলা হয়। এ প্রসঙ্গে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন,

"আমি রাসূল (সা) কে মিলনের পূর্বে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম এরপর তিনি তার স্ত্রীদের কাছে গমন করতেন"।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন সহবাস করলে কি হয়

অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই একবার সহবাস করার পর পুনরায় আবার ইচ্ছে করে এবং সহবাসে লিপ্ত হয়ে যায়। এটা ঠিক না একবার সহবাস করার পর পুনরায় যখন আপনি সহবাস করতে যাবেন তার পূর্বে আপনাকে ওযু করে সহবাস করতে হবে। এই প্রসঙ্গে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন,

"তোমাদের কেউ (স্বামী স্ত্রী) সহবাস করার পরে যদি দ্বিতীয়বার সহবাস করতে চায় তাহলে সে যেন ওযু করে নেয়। এটা তার দ্বিতীয় সহবাসকে স্বাদময় করবে"।

আশা করছি তাহলে উপরোক্ত সমস্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম এবং সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন। এখন আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে ইসলামিক নিয়মে সহবাস করতে পারবেন এবং আপনার স্ত্রী যদি গর্ব অবস্থায় থাকে তাহলে সহবাস করতে কোন দ্বিধাবোধ করবেন না। তবে খেয়াল রাখতে হবে সহবাস করার সময় স্ত্রী যেন কোনো ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।

সহবাস করা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার

সহবাস করা নিয়ে অনেক জনের অনেক রকম মতবাদ রয়েছে তারা বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার নিয়ে চলাফেরা করছে। তবে এই কুসংস্কার গুলোর কোন ধরনের যুক্তি নেই আমাদের ইসলামে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের কথা বলে সহবাসের কুসংস্কার তৈরি করে দিয়েছে। নিম্নত্র কিছু কুসংস্কারের নাম দেয়া হলো যে কুসংস্কারগুলো আপনি এড়িয়ে চলে আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে পারেন। সহবাস নিয়ে মানুষের কুসংস্কার হল।

  • রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে বা দিনের বেলা সহবাস করা যাবে না।
  • ফলগাছের নিচে সহবাস করা যাবে না।
  • পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে স্ত্রী সাথে সহবাস করা যাবে না।
  • বিদেশে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করা যাবে না।
  • স্ত্রীর যৌনাঙ্গে চেয়ে সহবাস করা যাবে না।
  • চন্দ্র মাসের প্রথম ও পনের তারিখ রাতে সহবাস করা যাবে না।
  • রবিবার ও বুধবার সহবাস করা যাবে না।
  • সহবাসের পরে গোসল না করে কিছু স্পর্শ করা যাবে না।
  • স্বপদোষ হলে গোসল না করে সহবাস করা যাবে না।
  • বিভিন্ন পজিশনে সহবাস করা যাবে না।
  • ভরা পেটে মানে খাবার খেয়ে এর পরে সহবাস করা যাবে না।
  • উলঙ্গ হয়ে সহবাস করা যাবে না।

এই ধরনের ভ্রান্ত ও কুসংস্কার মেনে চলার কোন যুক্তিকতা নেই আমাদের ইসলামে। কারণ উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে কোন ধরনের নিয়মকানুন মানতে হয় না। তারপরও কিছু কিছু নিয়ম দিয়ে আছে যে নিয়ম গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে পারেন। কিন্তু অনেকেই অনেক রকমের কুসংস্কার তৈরি করেছেন যে কুসংস্কার গুলোর মাধ্যমে সমাজে সহবাস নিয়ে সবাই অনেক রকমের ভুল ভাবনা তৈরি হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের উত্তেজনা বাড়ানোর উপায়

তবে উপরোক্ত যে কুসংস্কার গুলো দেয়া হলো সেই কুসংস্কার গুলো আপনি না মেনে আপনার স্ত্রীর সাথে আপনি সহবাস করতে পারেন। তাহলে আশা করছি এতক্ষণে আপনি জেনে গেছেন সহবাস করা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার গুলো সম্পর্কে। এখন আপনি এই কুসংস্কার গুলো এড়িয়ে আপনার স্ত্রীর সাথে আপনি সহবাস করতে পারবেন।

সর্বশেষ কথা- সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম এবং সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম সম্পর্কে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ইসলামিক সহবাস সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য আপনি পেয়ে গেছেন। এখন আপনি গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম এবং সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য গুলো নিজেও জানলেন এবং অন্য কেউ জানাতে পারবেন।

পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটু ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন। কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এবং আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন, কারণ তারা এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম এবং সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরও তথ্য পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪