OrdinaryITPostAd

তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল

প্রিয় পাঠক আপনি কি তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণটাই আপনার জন্যই। 

tarabi

কারণ, এই আর্টিকেল এর মধ্যে তারাবির নামাজ সম্পর্কিত এবং রমজান মাসের মাসের যত নিয়ম-কানুন আছে সমস্ত নিয়মকানুন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এমনকি এই ব্লক পোষ্টের মধ্যে তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই সম্পর্কিত কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি পড়ুন এবং অপরকে পড়ার সুযোগ করে দিন। আপনার ওসিলায় অন্যরাও জানতে পারবে তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল। তাহলে দেরি না করে চলুন সম্পূর্ণ ব্লক পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেয়া যাক।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল

তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল

তারাবির নামাজ পড়া প্রতিটি মুসলমানের ওপর  সুন্নতে মুয়াক্কাদা ( তবে পুরুষদের মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে হবে এবং নারীদের বাড়িতে পড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে )। আর যে ব্যক্তি তারাবির নামাজকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা হিসেবে অস্বীকার করবে সে বিদআতের আবিষ্কার ও পথভ্রষ্ট হবে। আর তাহতাবী কিতাব থেকে জানা গেছে যে তারাবী নামায সুন্নত। 

তবে মনে রাখতে হবে সুন্নতে মুয়াক্কাদা ওয়াজিবের মতই। আমাদের ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহি করতে হয়, তেমনি সুন্নাতে মুয়াক্কাদার ব্যাপারেও জবাবদিহি করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে

এছাড়াও আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সা.) এরশাদ করেন, عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين من بعدي عضوا عليها بالنواجذ  "তোমরা আমার সূন্নাতকে আঁকড়ে ধর এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নাতকে আঁকড়ে ধর। তার উপর তোমরা অটুট থাক"

এবং ইমাম নববী বলেন, صلاة التراويح سنة بإجماع العلماء "আলেমগণের ইজমা অনুযায়ী তারাবী নামাজ পড়া সুন্নত"

আশা করছি এতটুক পড়ার মাধ্যমে আপনি তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণাগুলো পেয়ে গেছেন। কারন আমরা আপনাকে সমস্ত তথ্যগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। 

তারাবির নামাজ কত রাকাত

তারাবির নামাজ নিয়ে অনেক হাদিস বর্ণিত আছে এক এক হাদীসে এক এক রকম কথা বর্ণিত আছে। আগের ওলামায়েগণ বা বুজুর্গনরা কেউ ২০ রাকাত পড়তো আবার কেউ ৮ রাকাত পড়ত। তাই একেক বুজুর্গন একেক রকম ভাবে তারাবির নামাজ কত রাকাত ব্যক্ত করেছেন।

তবে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত। তারাবির নামাজকে ৮ রাকাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা উচিত না। কারণ রমজান মাস রহমতের মাস এই মাসে যত ইবাদত করবেন তত আল্লাহ খুশি হবেন এবং আপনার উপর রহমত নাযিল করবেন। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন বেশি বেশি ইবাদত করার এবং বেশি বেশি আল্লাহতালাকে স্মরণ করার। এছাড়াও এ তারাবির নামাজ নিয়ে কিছু হাদিস বর্ণিত আছে যেমন।

ইবনে রুমান (রহ.) বলেন, "উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর যুগে লোকেরা রমজানে ২৩ রাকাত তারাবি পড়তেন"।

তাবেঈ আবদুল আজিজ ইবনে রুফাই (রহ.) বলেন, "উবাই ইবনে কাব (রা.) রমজানে মদিনায় লোকদের নিয়ে ২০ রাকাত তারাবি ও তিন রাকাত বিতর পড়তেন"।

তাবেঈ ইবনে আবি জুবাব (রহ.) বলেন, "ওমর (রা.)-এর যুগে রমজানের তারাবি ছিল ২৩ রাকাত"।

তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে

ইসলামের পাতায় বর্ণিত আছে কেউ যদি রোজা রাখার নিয়ত করে তারাবির নামাজ না পড়ে এবং সে দিনের বেলায় রোজা রাখে তাহলে তার রমজান মাসের রোজা ফরজ আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু তার যে সুন্নাত ও তারাবির মাধ্যমে তার যে মর্যাদা পাওয়ার সুযোগ ছিল তা থেকে সে বঞ্চিত হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ রমজান মাসের ফজিলত 

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার" এই উক্তি দ্বারা প্রতিটি মুসলমানকে আল্লাহতালা রোজা রাখার আদেশ জারি করেছেন। তাই আমাদের রোজা রাখতে হবে এবং নামাজ আদায় করতে হবে।

তারাবির নামাজের নিয়ত

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতের (তারাবি ) নামাজ পড়বে, তার জীবনের আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়". সুবহানাল্লাহ! তাই আমাদের সবাইকে তারাবির নামাজ পড়তে হবে। নামাজের জন্য নিয়ত করা অত্যন্ত জরুরি। তবে সেই নিয়তি হোক আরবিতে বা বাংলায়।

তারাবির আরবি নিয়তঃ

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

উচ্চারণঃ "নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার"।

তারাবির বাংলা নিয়তঃ

আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।

তারাবির নামাজের সময়সূচী

তারাবির নামাজের সময়সূচী হল এশার নামাজের পর সেহরি খাওয়ার পূর্বে এই তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। এশার নামাজ শেষ করে বেতেরের নামাজ না পরে তারাবির নামাজ আদায় করে নিতে হয়।তারাবির নামাজ আদায় হয়ে গেলে। আপনি যদি নিয়ত করেন তাহাজ্জুতের নামাজ পড়বেন তাহলে বেতের নামাজ পড়ার দরকার নাই। তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করে বেতের নামাজ আদায় করে নিবেন।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

 তারাবির নামাজের সময়সূচী গুলো আশা করি জানতে পেরেছেন। আজকের পোস্টটি ছিল তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই সংক্রামক কিছু তথ্য নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। আশা করি উক্ত রাইটিং বা পোস্ট দ্বারা আপনার অজানা তথ্যটি জানতে পেরেছেন।

পোষ্ট রাইটারের মন্তব্য

এতক্ষণ আপনারা যে পোস্টটি পড়ছিলেন সেই পোস্টটি হল তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই ব্যাপার নেই। আশা করি পোস্টটি আপনি লাইন বাই লাইন পড়ার মাধ্যমে আপনার অজানা তথ্যটি জানতে পেরেছেন। এমনকি এর সাথে সম্পৃক্ত আরো কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হয়েছে। এমন আপনার আরো অজানা তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪