OrdinaryITPostAd

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারীর হাদিস

প্রিয় পাঠক আপনি কি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত করেছেন এবং তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে সঠিক বা সহীহ হাদিস জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই।

Tahajjud prayer

কারণ এই পোষ্টটি যদি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার যে সহীহ বুখারীর হাদিস রয়েছে সেই হাদীসগুলো সম্পর্কে। এমনকি এই হাদিসগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই দেরি না করে চলুন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেয়া যাক এবং জেনে নেয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহিহ বুখারীর কয়েকটি হাদিস সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারীর কয়েকটি হাদিস  

  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২০
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২১
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২২
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৩
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৪
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৫
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৬
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৭
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৮
  • তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৯
  • শেষ কথা-তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ হাদিস  

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২০

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَتَهَجَّدُ قَالَ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ إِلَهَ غَيْرُكَ ـ ". قَالَ سُفْيَانُ وَزَادَ عَبْدُ الْكَرِيمِ أَبُو أُمَيَّةَ " وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ". قَالَ سُفْيَانُ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ سَمِعَهُ مِنْ طَاوُسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم."

অনুবাদঃ

وَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ }وَمِنْ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ{

মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘'আর আপনি রাতের এক অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করুন, যা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য’"। 

"ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশে যখন দাঁড়াতেন, তখন দু‘আ পড়তেন- ‘‘হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনি আসমান যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আসমান যমীন এবং তাদের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান যমীনের নূর। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আকাশ ও যমীনের মালিক, আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। 

আরো পড়ুনঃ রমজান পালনের সহীহ হাদিস 

আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য; আপনার সাক্ষাৎ সত্য; আপনার বাণী সত্য; জান্নাত সত্য; জাহান্নাম সত্য; নাবীগণ সত্য; মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য, কিয়ামত সত্য। ইয়া আল্লাহ্! আপনার নিকটই আমি আত্মসমর্পণ করলাম; আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; আপনার উপরেই তাওয়াক্কুল করলাম, আপনার দিকেই রুজূ‘ করলাম; আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। 

তাই আপনি আমার পূর্বাপর ও প্রকাশ্য গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই অগ্র পশ্চাতের মালিক। আপনি ব্যতীত সত্য প্রকৃত কোন ইলাহ্ নেই, অথবা (অপর বর্ণনায়) আপনি ব্যতীত প্রকৃত কোন সত্য মা‘বূদ নেই। সুফইয়ান (রহ.) বলেছেন, আবূ উমাইয়্যাহ (রহ.) তাঁর বর্ণনায় وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ  (বাক্যটি) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। সুফইয়ান (রহ.).....ইবনু ‘আববাস (রাযি.) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন"।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২১, ১১২২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،. وَحَدَّثَنِي مَحْمُودٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ الرَّجُلُ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى رُؤْيَا قَصَّهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَمَنَّيْتُ أَنْ أَرَى رُؤْيَا فَأَقُصَّهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكُنْتُ غُلاَمًا شَابًّا، وَكُنْتُ أَنَامُ فِي الْمَسْجِدِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَيْتُ فِي النَّوْمِ كَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَخَذَانِي فَذَهَبَا بِي إِلَى النَّارِ فَإِذَا هِيَ مَطْوِيَّةٌ كَطَىِّ الْبِئْرِ، وَإِذَا لَهَا قَرْنَانِ، وَإِذَا فِيهَا أُنَاسٌ قَدْ عَرَفْتُهُمْ فَجَعَلْتُ أَقُولُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ ـ قَالَ ـ فَلَقِيَنَا مَلَكٌ آخَرُ فَقَالَ لِي لَمْ تُرَعْ. فَقَصَصْتُهَا عَلَى حَفْصَةَ فَقَصَّتْهَا حَفْصَةُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ، لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ " فَكَانَ بَعْدُ لاَ يَنَامُ مِنَ اللَّيْلِ إِلاَّ قَلِيلاً

অনুবাদঃ "সালিম (রহ.) তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবিতকালে কোন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখলে তা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খিদমতে বর্ণনা করত। এতে আমার মনে আকাঙ্ক্ষা জাগলো যে, আমি কোন স্বপ্ন দেখলে তা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করব। তখন আমি যুবক ছিলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে আমি মসজিদে ঘুমাতাম। 

আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন দু’জন ফিরিশতা আমাকে ধরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে চলেছেন। তা যেন কুপের পাড় বাঁধানোর ন্যায় পাড় বাঁধানো। তাতে দু’টি খুঁটি রয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে এমন কতক লোক, যাদের আমি চিনতে পারলাম। তখন আমি বলতে লাগলাম, আমি জাহান্নাম হতে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তিনি বলেন, তখন অন্য একজন ফেরেশ্তা আমাদের সঙ্গে মিলিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, ভয় পেয়ো না"।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৩

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، كَانَتْ تِلْكَ صَلاَتَهُ، يَسْجُدُ السَّجْدَةَ مِنْ ذَلِكَ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ أَحَدُكُمْ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ، وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ، ثُمَّ يَضْطَجِعُ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَأْتِيَهُ الْمُنَادِي لِلصَّلاَةِ.

অনুবাদঃ "উরওয়াহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) আমাকে জানিয়েছেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাহাজ্জুদে) এগার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন এবং তা ছিল তাঁর (স্বাভাবিক) সালাত। সে সালাতে তিনি এক একটি সাজদাহ্ এত পরিমাণ করতেন যে, তোমাদের কেউ (সাজ্দাহ হতে) তাঁর মাথা তোলার পূর্বে পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারত। আর ফজরের (ফারয) সালাতের পূর্বে তিনি দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। অতঃপর তিনি ডান কাতে শুতেন যতক্ষণ না সালাতের জন্য তাঁর কাছে মুআয্যিন আসত"।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৪

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا، يَقُولُ اشْتَكَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَقُمْ لَيْلَةً أَوْ لَيْلَتَيْنِ.

অনুবাদঃ "জুনদাব (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে এক রাত বা দু’ রাত তিনি (তাহাজ্জুদের জন্য) উঠেননি"। 

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جُنْدَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ احْتَبَسَ جِبْرِيلُ صلى الله عليه وسلم عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ أَبْطَأَ عَلَيْهِ شَيْطَانُهُ. فَنَزَلَتْ {وَالضُّحَى * وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى * مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى}

অনুবাদঃ "জুনদাব ইবনু ‘আব্দুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিন বলেন, একবার সাময়িকভাবে জিব্রীল (‘আ.) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট হাযিরা হতে বিরত থাকেন। এতে জনৈকা কুরায়শ নারী বলল, তার শয়তানটি তাঁর নিকট আসতে দেরী করছে। তখন অবতীর্ণ হল- ‘‘শপথ পূর্বাহ্নের ও রজনীর! যখন তা হয় নিঝুম। আপনার প্রতিপালক আপনাকে পরিত্যাগ করেননি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি"। 

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৬

-حَدَّثَنَا ابْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ هِنْدٍ بِنْتِ الْحَارِثِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اسْتَيْقَظَ لَيْلَةً فَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ مَاذَا أُنْزِلَ اللَّيْلَةَ مِنَ الْفِتْنَةِ، مَاذَا أُنْزِلَ مِنَ الْخَزَائِنِ مَنْ يُوقِظُ صَوَاحِبَ الْحُجُرَاتِ، يَا رُبَّ كَاسِيَةٍ فِي الدُّنْيَا عَارِيَةٍ فِي الآخِرَةِ "

অনুবাদঃ

وَطَرَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ وَعَلِيًّا عَلَيْهِمَا السَّلاَم لَيْلَةً لِلصَّلاَةِ.

"নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ সালাতে উৎসাহ দানের জন্য এক রাতে ফাতিমাহ ও ‘আলী (রাযি.)-এর ঘরে গিয়েছিলেন"।

"উম্মু সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একরাতে ঘুম হতে জেগে বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্! আজ রাতে কত না ফিত্নাহ নাযিল করা হল! আজ রাতে কতই না (রহমাতের) ভান্ডার নাযিল করা হল! কে জাগিয়ে দিবে বাড়ীগুলোর লোকজনকে? ওহে! শোন, দুনিয়ার অনেক পোষাক পরিহিতা আখিরাতে উলঙ্গ হয়ে যাবে"।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৭

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ بِنْتَ النَّبِيِّ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ لَيْلَةً فَقَالَ أَلاَ تُصَلِّيَانِ ". فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا. فَانْصَرَفَ حِينَ قُلْنَا ذَلِكَ وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَىَّ شَيْئًا. ثُمَّ سَمِعْتُهُ وَهْوَ مُوَلٍّ يَضْرِبُ فَخِذَهُ وَهْوَ يَقُولُ "وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً}"."

অনুবাদঃ "আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে তাঁর কন্যা ফাতিমাহ (রাযি.)-এর নিকট এসে বললেনঃ তোমরা কি সালাত আদায় করছ না? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের আত্মাগুলো তো আল্লাহ্ তা‘আলার হাতে রয়েছে। তিনি যখন আমাদের জাগাতে ইচ্ছা করবেন, জাগিয়ে দিবেন। আমরা যখন একথা বললাম, তখন তিনি চলে গেলেন। আমার কথার কোন জবাব দিলেন না। পরে আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি ফিরে যেতে যেতে আপন উরুতে করাঘাত করছিলেন এবং কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন- وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلاً ‘‘মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্ক প্রিয়"। 

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَدَعُ الْعَمَلَ وَهْوَ يُحِبُّ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ خَشْيَةَ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ النَّاسُ فَيُفْرَضَ عَلَيْهِمْ، وَمَا سَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُبْحَةَ الضُّحَى قَطُّ، وَإِنِّي لأُسَبِّحُهَا.

অনুবাদঃ "আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ‘আমাল করা পছন্দ করতেন, সে ‘আমাল কোন কোন সময় এ আশঙ্কায় ছেড়েও দিতেন যে, সে ‘আমাল লোকেরা করতে থাকবে, ফলে তাদের উপর তা ফরজ হয়ে যাবে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহা সালাত আদায় করেননি।* আমি সে সালাত আদায় করি"।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ বুখারী : ১১২৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ ـ رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ، ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ فَكَثُرَ النَّاسُ، ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ، فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ " قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ وَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ " ، وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ

অনুবাদঃ "উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে মসজিদে সালাত আদায় করছিলেন, কিছু লোক তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলো। পরবর্তী রাতেও তিনি সালাত আদায় করলেন এবং লোক আরো বেড়ে গেল। 

আরো পড়ুনঃ তারাবি নামাজ পড়ার সহীহ হাদিস 

অতঃপর তৃতীয় কিংবা চতুর্থ রাতে লোকজন সমবেত হলেন, কিন্তু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন না। সকাল হলে তিনি বললেনঃ তোমরা যা করেছ আমি লক্ষ্য করেছি। তোমাদের নিকট বেরিয়ে আসার ব্যাপারে এ আশঙ্কাই আমাকে বাধা দিয়েছে যে, তোমাদের উপর তা ফরজ হয়ে যাবে। এটা ছিল রমাযান মাসের ঘটনা"

শেষ কথা-তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ হাদিস  

এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লেন সেই পোস্টটি ছিল তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহিহ হাদিস সম্পর্কে আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ে যত ভুল ধারণা ছিল সেই ধারণা গুলো এই হাদীসগুলো পড়ার মাধ্যমেই বুঝতে পেরেছেন বা জানতে পেরেছেন। এখন আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ এর সঠিক তথ্যগুলো গ্রহণ করতে পেরেছেন।

এখন যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমরা আমাদের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এমনকি আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডি অথবা মেসেঞ্জারের বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সহীহ হাদিস সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪