OrdinaryITPostAd

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম - ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম ২০২৪

এখন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই কারন আজকে আমরা এই পোষ্টের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর এই আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায় বা ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

driving license

এছাড়াও আমরা আর্টিকেলের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন করা হয়

ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত কেন করা হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার মূল কারণ হলো রাস্তায় যে কোন গাড়ি চালাতে গিয়ে আপনি গাড়ি ঠিকমত চালাতে জানেন কিনা তার একটি সার্টিফিকেট। যেটা আপনাকে গাড়ি চালানোর সময় সব সময় আপনার সাথে রাখতে হবে। কারণ যে কোন সময় আপনার কাছে পুলিশ সার্জেন্ট এসে চেক করতে পারে যে আপনি আদৌ গাড়ি চালাতে পারেন কিনা। অথবা আপনার ১৮ বছর বয়স হয়েছে কিনা। গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

আরো পড়ুনঃ ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

কারণ গাড়ি চালানোর সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যে সমস্যাগুলো বেশিরভাগ ড্রাইভিং লাইসেন্স গাড়ির কাগজ পাতির জন্যই হয়ে থাকে। তাই চেষ্টা করবেন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আপনার গাড়ির কাগজপত্র এবং আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বের হওয়ার। কারণ আপনি যদি গাড়ি চালাতে গিয়ে কোন সার্জেন্টের হাতে ধরা পড়েন আর আপনার কাছে যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ির কাগজ না থাকে তাহলে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এমনকি সার্জেন্ট আপনার নামে কেশ বা চালান কেটে দিতে পারে। 

তবে এখন ২০২৩-এ এসে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করা যায়। কোন ধরনের দালাল বা থার্ড পার্টির সাহায্য ছাড়াই আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন। আর আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে সেই প্রচেষ্টাই দেখানোর চেষ্টা করব। তাই আপনি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং জেনে নিবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম-কানুন সম্পর্কে। তাহলে আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন করা হয় এই সম্পর্কে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

এখন তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা যায়। সঠিক নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে বিআরটিসি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা ফোনে বা ল্যাপটপ ডেক্সটপে যে কোন ব্রাউজারে গিয়ে টাইপ করতে হবে www.bps.brta.gov.bd এটা টাইপ করা হয়ে গেলে ইন্টার বাটনে প্রেস করলে আপনার সামনে এই রকম একটা ইন্টারফেস শো করবে।

এরপর আপনি যেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন তার জন্য আপনাকে বিআরটিসি ওয়েবসাইটটি নিবন্ধন করে নিতে হবে। তার জন্য উপরে থাকা নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি ইন্টারফেসও হবে যেখানে আপনাকে জন্ম তারিখ এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরটি দিতে হবে। এগুলো দেয়ার পর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করলে আপনার সম্পূর্ণ তথ্য করবে। 

আপনার ডিটেলস দেখতে পাওয়ার পর নিচে আপনার ফোন নাম্বার এবং একটি ইমেইল এড্রেস আর পাসওয়ার্ড সেট করে দিতে হবে। অবশ্যই মাথায় রাখবেন যেই ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস দিচ্ছে সেই দুইটি অবশ্যই সচল হওয়া চাই। কারণ আপনার এই ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস এর মাধ্যমেই সমস্ত তথ্য গুলো জানিয়ে দেয়া হবে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন একটি সচল ফোন নাম্বার এবং একটি সচল ইমেইল এড্রেস দেওয়ার। এরপর সম্পূর্ণ তথ্য দেয়ার পর নিবন্ধন করুন এ বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

তাহলে আপনার বিআরটিসি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি নিয়ে বন্ধন হয়ে যাবে। তারপর আপনার ইমেইলে একটি মেসেজ যাবে যে মেসেজের মাধ্যমে আপনি আপনার নিবন্ধনকৃত একাউন্টটি ভেরিফিকেশন করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে ইমেইল এর মধ্যে চলে যেতে হবে চলে যাওয়ার পর বিআরটি থেকে একটি মেসেজ যাবে সেই মেসেজের উপর ক্লিক করতে হবে। 

মেসেজের ভিতরে প্রবেশ করার পর ক্লিক (click) নামের একটি অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করলেই এবং ফোন নাম্বার আর পাসওয়ার্ড দিলে আপনার নাম্বার একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে সে ভেরিফিকেশন কোড ডি বসিয়ে দিলেই আপনার নিবন্ধন সাকসেসফুল হয়ে যাবে। বিআরটিসি ওয়েবসাইট নিবন্ধন হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। 

আবেদন করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করুন এতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আপনাকে কিছু তথ্য দেয়া হবে যে তথ্যগুলোর মাধ্যমে দেয়া থাকবে কোন কোন কাগজপত্র বা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে আপনি আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। সমস্ত তথ্যগুলো দেখার মাধ্যমে আপনি পরের স্টেপে যাবেন। পরের স্টেপে যাওয়ার পর সমস্ত তথ্য গুলো সঠিকভাবে দিতে হবে। কোন প্রকার ভুল তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবেন না নয়তো আপনার লার্নার বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেতে পারে এবং আপনার নামে আইনি অভিযোগ হতে পারে। 

তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন সমস্ত তথ্যগুলো সঠিক দেওয়ার। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে দেবার পর আপনাকে আবেদন ফি জমা দিতে হবে আবেদন ফ্রি আপনি বিকাশের মাধ্যমে দিতে পারেন। আবেদন ফ্রি জমা দেওয়ার পর আপনাকে আপনার লার্নার প্রিন্ট করতে বলা হবে। এ সমস্ত ফাইলগুলো আপনি ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারেন যে কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে প্রিন্ট করে নিতে হবে। এবং আপনাকে পেমেন্টের যে একটি রিসিট আছে সে রিসিটটাও ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। 

এ সমস্ত কিছুর ডাউনলোড করার পর আপনার লার্নার ফ্রমে আপনি দেখতে পাবেন আপনার পরীক্ষার জন্য স্থান এবং তারিখ উল্লেখ করা আছে এবং সেই সময় এবং স্থান অনুযায়ী আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা নেয়া হবে। আর ওই স্থানে গিয়ে আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষাগুলো হবে আপনার লিখিত ভাইভা এবং প্র্যাকটিক্যাল এ সমস্ত পরীক্ষাগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সময়ে আপনাকে উপস্থিত হতে হবে। 

এই সমস্ত প্রসেস গুলো পড়ার মাধ্যমে যদি আপনি না বুঝতে পারেন তাহলে ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন। এবং আপনাকে পরীক্ষার দিন যে সমস্ত কাগজপত্র গুলো নিয়ে যেতে হবে সেই সমস্ত কাগজপত্র গুলো নিজে উল্লেখ করা হলো। তাহলে আশা করছি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পেয়ে গেছেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

এবার চলুন জেনে নিই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে। যেই কাগজপত্র গুলো নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আপনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অবশ্যই আবেদন করার পর আপনাকে এই কাগজপত্রগুলো নিয়ে আপনার লার্নার ফরমে দেয়া স্থান এবং সময়ে উপস্থিত হতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নিন কোন কাগজপত্র গুলো নিয়ে যাবার মাধ্যমে আপনি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবেন। পরীক্ষার উপস্থিত হওয়ার সময় লেখার জন্য কালো কলম সহ নিম্নোক্ত কাগজপত্রাদি পরিদর্শককে পরিদর্শনের জন্য সাথে রাখতে হবে।

  • লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স। অথবা আপনি যেটি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রেখেছেন সেই লার্নার ফরমটিকে বোঝানো হয়েছে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি যেই জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন সেই জাতীয় পরিচয় পত্রের কথা বলা হয়েছে।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট এর মূল কপি যে মেডিকেল সার্টিফিকেট অথবা এমবিবিএস ডাক্তারের স্বাক্ষরকৃত মেডিকেল সার্টিফিকেট এর কথা বলা হয়েছে।
  • তারপর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সত্যায়িত ফটোকপি অথবা মূল কপি যেই শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে আবেদন করেছেন সেই শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর কথা বলা হয়েছে।
  • এরপর ইউটিলিটি এর বিল সত্যায়িত ফটোকপি অথবা মূল কপ তবে চেষ্টা করবেন মূল কপিটা নিয়ে যাওয়া যে ইউটিলিটির মাধ্যমে আপনি অনলাইনে আবেদন করেছেন বা জমা দিয়েছেন সেই ইউটিলিটি বিলের মূল কপির কথা বোঝানো হয়েছে।
  • এবং আপনি যে টাকা পেমেন্ট করেছেন সেই টাকা পেমেন্ট এর মানি রিসিভটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে।
এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে কি ধরনের পরীক্ষা হয় এবং কত মার্কের পরীক্ষা হয়। আপনার যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষাটি হবে সেটি মূলত ২০ মার্কের এর মধ্যে ১২ মার্ক পেলে আপনি পাস করবেন। এবং যে ধরনের প্রশ্ন হয় আপনি বিআরটিসি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ট্রাফিক চিহ্ন এবং ড্রাইভিং টেস্ট নির্দেশিকা এর মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন। বেসিক্যালি ভাইবার পরীক্ষাগুলো আপনাকে ট্রাফিক সম্পর্কিত সমস্ত চিহ্ন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে। এবং শেষ পরীক্ষাটি হচ্ছে প্রাকটিক্যাল যে পরীক্ষাটি হচ্ছে আপনাকে গাড়ি চালিয়ে দেখাতে হবে যে আদৌ আপনি গাড়ি চালাতে পারেন কিনা তাদের সেটি দেখাতে হবে।

এরপর আপনি যদি সব কিছুতে ঠিকঠাক পাশ করে যান তাহলে আবার আপনাকে পরের স্টেপে যেতে হবে পরের স্টেপে যাওয়ার জন্য আপনাকে বি আর টি অফিস থেকে একটি ফর্ম দেয়া হবে যে ফর্মটি পূরণ করার মাধ্যমে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডটি পেয়ে যাবেন। ফর্মটি পূরণ করার পর এবং আপনি ফর্মটি জমা দেয়ার পর আপনাকে একটি সাময়িক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মাধ্যমে আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন। 

তবে সেই সাময়িক ড্রাইভিং লাইসেন্সটির মেয়াদ আছে যে মেয়াদটি উত্তীর্ণ হয়ে গেলে আপনাকে বি আর টি অফিসে গিয়ে টাকা দিয়ে মেয়াদ বাড়ি নিতে হবে। এবং আপনাকে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে কবে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং চোখের ছাপ নেওয়া হবে এই সমস্ত প্রসেস গুলো কমপ্লিট করার পর আপনাকে আপনার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সটি দেয়া হবে। এ সমস্ত প্রসেস গুলো আপনাকে আপনার মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমেই বিআরটি অফিস থেকে জানিয়ে দেয়া হবে। এভাবেই আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিতে পারবেন। আশা করি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কত টাকা খরচ হয়

এখন জানুন ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনার কত টাকা খরচ করতে হয়। যদি আপনি দালাল চক্রের হাতে পড়েন তাহলে আপনার অনেক টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। তবে আপনি যদি নিজে নিজে এই সমস্ত প্রসেসগুলো কমপ্লিট করার মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনার অল্প খরচেই ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে যাবে। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নিয়মিত খরচ অনুসারে মোটরসাইকেল ও যে কোন একটি হালকা মটরজান একসঙ্গে যদি করতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৫১৮ টাকা এবং ৫ বছরের নবায়ন ফ্রিসহ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি আসবে ১৬৮০ টাকা। এবং আপনি যদি ১০ বছরের ফি সহ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ২৫৪২ টাকা। 

এবং এটিও জেনে রাখা ভালো আন্তর্জাতিক কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফ্রি হয় ২৫০০ টাকা। তাহলে আশা করছি এতক্ষণে একটি মোটামুটি ধারণা পেয়ে গেছেন সে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হতে পারে এই সম্পর্কে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার কতদিন পর পাওয়া যায়

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার কতদিন পর পাওয়া যায়। এটা আসলে বলা খুবই মুশকিল কারণ আপনি যদি আপনার অনলাইনে আবেদন করার সময় সমস্ত তথ্যগুলো সঠিক প্রদান করে থাকেন তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে যেতে পারে। 

তবে আবেদন করার সময় আবেদন ফরমে আপনার পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময় এবং স্থান দেয়া থাকবে যে স্থানে গিয়ে আপনি পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং পরীক্ষা দেবার পর আপনি যদি পাশ করেন তাহলে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে কিভাবে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ডের আবেদন করতে পারবেন। 

এবং আবেদন করার পর আপনাকে একটি সাময়িক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে যেটির মাধ্যমে আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন এবং আপনাকে পরবর্তী এস এম এসে জানিয়ে দেয়া হবে কবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং চোখের স্ক্যান দিতে হবে। এ সমস্ত প্রসেস গুলো কমপ্লিট করার পর আপনাকে আরেকটি মেসেজ দেয়া হবে যে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড টি সংগ্রহ করার জন্য। 

তবে এই প্রসেস গুলো অনেক বড় অনেক সময় লাগতে পারে। স্টেপ বাই স্টেপ আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য অনেকদিন সময় লেগে যেতে পারে। তাহলে আশা করছি স্মার্ট কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড আবেদন করার কতদিন পর পাওয়া যাবে সম্পর্কে একটি মোটামুটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে গেছেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম

আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনাকে কয়েকটি প্রসেস মেইনটেইন করতে হবে। যেই প্রসেস গুলো হল আপনি বিআরটি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে দেখতে পারেন আবার আপনার হাতে থাকা ফোনের অ্যাপস দিয়েও দেখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে যে অ্যাপস টির নাম হলো  BRTA DL Checker.

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখু্ন

এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করার মাধ্যমে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। অ্যাপসটি ডাউনলোড করা হয়ে গেলে অ্যাপস এর মধ্যে প্রবেশ করবেন। প্রবেশ করলে আপনার সামনে এরকম একটি ইন্টারফেসও করবে।


তারপর আপনাকে কিছু তথ্য দেয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি দেখতে পাবেন। তথ্যগুলো হলো ডিএল নাম্বার ডিএল নাম্বারটি আপনি আপনার সাময়িক ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেয়ে যাবেন তারপর এই ফাঁকা স্থানে নাম্বারটি বসিয়ে দিবেন তারপর আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে সার্চ করলেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি দেখিয়ে দেয়া হবে। আশা করি তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।

সর্বশেষ কথা - ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

আশা করছি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য আপনি পেয়ে গেছেন। এখন আপনি ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এমনকি আপনার আশেপাশের কেউ যদি আবেদন করতে চায় তাহলে তাকে সম্পূর্ণ কোষের সম্পর্কে অবগত করতে পারবেন। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে একটু ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কষ্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন। 

কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এমনকি এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪