About US
আমার নাম মোঃ আব্দুর রহিম, আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। প্রতিটি
মানুষের কোন না কোন অতীত থাকে। আর আমার সেই অতিগুলো থেকেই কিছু কথা আপনাদের
মাঝে উপস্থাপন করব। জন্মের পর থেকে এই পর্যন্ত জীবনে যত ঘটনা কাহিনী আমার সাথে
ঘটেছে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এমনকি বর্তমান এবং ভবিষ্যতে কি
করছি এবং কি করতে চাই সেগুলো আপনাদের মাঝে আজ গল্প আকারে
পরিবেশন করব।
সূচিপত্রঃ আমার সম্পর্কে জানুন
আমার পরিচয়ঃ
নাম মোহাম্মদ আব্দুর রহিম। আমি একজন ছাত্র। আমি ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম, সবার দোয়াই ইনশাআল্লাহ এইচএসসি পাশ করেছি । বাবা-মার বড় সন্তান, অনেক আদরের। আমার পিতা মাতার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ এই পর্যন্ত আশা। আমার আব্বুর সাপোর্ট নিয়ে আমি কোরআন শিক্ষা, প্রাইমারি শিক্ষা, হাই স্কুল শিক্ষা,কলেজ জীবন সমস্ত কিছু পার করেছি এমনকি কারিগরি শিক্ষাও তারা আশ্বাস নিয়েই শেষ করা। আর এখন তারই চাওয়ায় বাংলাদেশের সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং সেন্টার এ ভর্তি হয়ে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছি।
জীবনের লক্ষ্যঃ
প্রতিটি মানুষেরই কোন না কোন জীবনের লক্ষ্য আছে। সেটা যে কোনো কিছু হতে
পারে।
""লক্ষ্যবিহীন জীবন চাকাবিহীন গাড়ীর ন্যায়""ছোটবেলায় আমরা জীবনের
লক্ষ্য শিরোনামে রচনা লিখতে গিয়ে অনেক বার আমরা এই কথাটি ব্যবহার
করেছি। কিন্তু Aim in Life রচনাটি মুখস্ত থাকলেও জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য
নেই অনেকের জীবনে। যেগুলো আছে তা হলো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট বা বিসিএস
ক্যাডারের মতো অল্প কয়েকটি পেশার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আস্তে আস্তে বড় হওয়ার
পর বুঝতে পারছি জীবন মানে কি, জীবন কাকে বলে, জীবন কত প্রকার ও কি কি
ইত্যাদি। বড় হওয়ার সাথে সাথে ছোটবেলায় দেখা লক্ষ্য গুলো কোথায় যেন
হারিয়ে গেছে। যত দিন যাচ্ছে জীবনের লক্ষ্য গুলো পরিবর্তন হচ্ছে। পরিস্থিতি
বলে দিচ্ছে জীবন কোন প্রান্তে গিয়ে দাঁড়াবে। ছোট বেলায় aim in life এ
লিখেছিলাম I will grow up to be a great doctor কিন্তু
বড় হয়ে ফ্যামিলির দিকে তাকিয়ে সেই স্বপ্নটা আর পূরণ করা হলো না।
অতীতের জীবনঃ
অতীতের জীবন বা ছোটবেলার সময় যেটাকে আমরা মধুর সময় বলে
থাকি। ছোটবেলার জীবনটা কতই না সুন্দর ছিল । পড়াশোনা আর খেলাধুলা নিয়েই
মেতে থাকতাম । বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি, একসাথে আড্ডা দেয়া, এক বেঞ্চে
গাদাগাদি করে বসা, এক বই সবাই মিলে পড়া, টিফিনের সময় টিফিন না খাইতে গিয়ে
খেলাধুলা করা। ছোটবেলার জীবনটা ছিল সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মাদ্রাসায় কোরআন
পড়তে যাওয়া, মাদ্রাসা থেকে এসে খাওয়া-দাওয়া করে স্কুলের জন্য বেরিয়ে
পড়া, স্কুলে সবার আগে গিয়ে বেঞ্চ ধরে রাখা, সবার আগে বসার জন্য। স্কুল শেষ
করে এসে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া। প্রাইভেট শেষ করে খেলাধুলা করা। বাসায় এসে
আম্মুর বকুনি খেয়ে পড়তে বসা, সেই সময়গুলোতে জীবন মানে কি তাই জানতাম না।
তখন ভাবতাম কখন বড় হব, এখন বড় হয়ে বুঝতে পারছি জীবন কতটা কঠিন। ফেলে আসা
সেই সময় গুলো মনে করি আর আফসোস করি। ছোটবেলার জীবনটাই ভালো ছিল।
বর্তমানে জীবনঃ
বর্তমানের জীবন বা এখনকার যে সময়টা যাচ্ছে। ছোট থেকে বড় হওয়ার গল্পটা
অনেক বড় । বড় হওয়ার পর বুঝতে পেরেছি জীবনের মানে কি, পরিবার কাকে বলে,
পরিবার কিভাবে পরিচালনা করতে হয়। যখন ছোট ছিলাম শুধু দেখতাম বাবা একাই পরিশ্রম
করে আমাদের সবার পড়াশোনার খরচ সংসার খরচ চালাত। এখন বড় হয়েছে বাবার
পাশে দাঁড়িয়ে সংসারটাকে নিজের মতো করে গেছেন নিজের মতো করে গড়ে নিতে
চাই। ছোট জীবনে অনেক কিছুই চেষ্টা করেছি কিন্তু কোথাও সফলতার দেখা
পাইনি। তাও এখন পর্যন্ত হাল ছাড়েনি চেষ্টা করেই যাচ্ছি। আমি জানি সফলতা
একদিন পাবই কারণ বিশ্বাসটা তো আল্লাহর উপরে। এখন আমি বাংলাদেশের সেরা ডিজিটাল
মার্কেটিং সেন্টার অর্ডিনারি আইটিতে একজন ভালো মানের ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার
জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। পিতা-মাতা ও প্রশিক্ষক সাকিব ভাইয়ার অক্লান্ত
পরিশ্রমকে কখনোই বৃথা হতে দিব না।
ভবিষ্যতের জীবনঃ
সবাই তো কোন না কোন স্বপ্ন দেখে, আমিও স্বপ্ন দেখেছি। তবে সেই স্বপ্নগুলো
পরিস্থিতি ও সময়ের প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন হয়ে গেছে। যত সময় যাচ্ছে ততই নতুন
করে স্বপ্ন দেখেছি। আল্লাহতালার উপর ভরসা করে এবং তার প্রতি বিশ্বাস রেখে এখনো
এই জীবন নামক যুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। দেখিনা আল্লাহ তাআলা তার বান্দার জন্য
কোন রিজিকের দরজাটা খুলে রেখেছে। নিশ্চয়ই কোন না কোন ব্যবস্থা আমার জন্য করে
রেখেছে। প্রতিটি বাবা-মা চাই তার সন্তান প্রতিষ্ঠিত হয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে।
আমিও চাই একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মা-বাবার পাশে দাঁড়িয়ে, তাদের করে আসা সমস্ত
পরিশ্রমের ইতি টানব । ইনশাআল্লাহ,,,,,।
প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন থাকে। সুন্দর ও সুখী ভবিষ্যতের স্বপ্ন। আমরা শুধু
নিজেদের ভবিষ্যতের কথাই চিন্তা করি না, বরং সবাইকে নিয়ে কিভাবে সুখী থাকা চাই
সেটাও চিন্তা করি। বাবা তার সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন। কিন্তু
ভবিষ্যত সম্পর্কে সবার ধারণা এক নয়। অনেক মানুষ ভবিষ্যত বলতে শুধু দুনিয়ার
জীবনকেই বোঝে। আর তাইতো অনেক মানুষ দুনিয়ার জীবনকে সুখি ও সুন্দর করে তুলতে
বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন ভাবে অর্থ উপার্জন করে। কেউ প্রবাসে কেউ নিজ দেশে
কত রকম উপায়ে অর্থ উপার্জন করে থাকে। কেউ হারার পথে ইনকাম করছেন কেউ আবার
হারাম পথে ইনকাম করছে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূলের দৃষ্টিতে বান্দার
প্রকৃত ভবিষ্যত জীবন কোনটি, যাকে সুখময় ও উজ্জ্বল করার জন্য সে সারা জীবন
মেহনত-মোজাহাদা করবে? আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে বারবার বিভিন্নভাবে মানুষকে
স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, তার প্রকৃত জীবন হল আখেরাতের জীবন। কিন্তূ দুনিয়া
নামক মায়া জালের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের জীবনটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
পছন্দ কিছু মানুষঃ
প্রতিটি সন্তানের কাছে তার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ হলো তার বাবা-মা। বুদ্ধি
হওয়ার পর থেকে কত মানুষের সাথে চলাফেরা করেছি। শিক্ষাজীবনে শিক্ষকদের সাথে
বন্ধু-বান্ধবের সাথে। এই মানুষগুলোর সাথে চলাফেরার মাধ্যমে ভালোলাগা ও
ভালোবাসার জন্ম নিয়েছে। পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক মানুষ পাওয়া যাবে
যাদের বন্ধু-বান্ধব নাই। বন্ধু-বান্ধব জীবনের একটা বড় অংশ। তাদের ছাড়া
জীবন পরিচালনায় করাই কঠিন হয়ে যায়। পিতা মাতার পর আমাদের গার্জিয়ান হল
শিক্ষক-শিক্ষিকা পিতা-মাতা বাড়িতে শিক্ষা দেয় এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা
শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষা দেয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দেয়া
দিকনির্দেশনা মূলক কথাগুলো জীবন পরিবর্তন করার অনেক বড়
হাতিয়ার। শিক্ষকদের ঘাড়ে হাত রেখে অনেক ছেলে মেয়ে প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে। তাইতো পছন্দের মানুষ গুলোর মধ্যে এরাও পড়ে।
পছন্দের মানুষগুলো হলো। পছন্দের মানুষগুলোঃ
- মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী বিপ্লব
- মোহাম্মদ রাশেদ খান মিলন
- মোঃ আনোয়ার হোসেন রতন
- মোহাম্মদ আল মামুনুর রশিদ
- মোছাম্মদ শাহানারা বেগম
- মোহাম্মদ গোলাম মাসুদ
জীবন কাহিনীঃ
জীবন থেকে ছোট্ট একটা কাহিনী সংগ্রহ করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আমি যখন
এইচএসসি পরীক্ষা দিলাম তারপর বেসিক কম্পিউটার কোর্স করার জন্য আমাদের
পার্শ্ববর্তী বাজার কাঁকনহাটে হিকমা নামক কোচিং এবং কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে
ভর্তি হয়েছিলাম। ভর্তি হওয়ার পর প্রতিদিন ক্লাস হতো ক্লাসে যেতাম, সকাল
৯ টার দিকে বের হইতাম ক্লাসের জন্য। তো ক্লাসের যাওয়ার সময় মান্ডইল
স্কুলের একটি মেয়েকে প্রতিদিন দেখতাম, তো দেখে ভালো লাগতো। কিছুদিন তাকে ফলো
করার পর, একদিন হঠাৎ করে সাহসের সাথে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ভয়
লাগছিল তারপরও সাহস করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারপর সে যখন আমার কাছাকাছি
আসলো সাহস করে বললাম আপু আপনার সাথে কি কথা বলা যাবে। সে বলল, কেন কি
হয়েছে। তো আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনি কোন ক্লাসে পড়েন। সে বলল, কেন বলব
আপনাকে কে আপনি। এরকম করতে করতে অনেক কথাই হলো, দেন সব শেষে তার কাছে
তার ফোন নাম্বারটা চাইলাম। সে বলল, আমার ফোন নাই। আমি বললাম আমার
নাম্বারটা নেন আপনি ফোন দিয়েন। সে অনেকক্ষণ ভেবেচিন্তে বলল, আচ্ছা দেন ।
আমিও খুশি হয়ে নাম্বারটা দিয়ে দিলাম। নাম্বার দিয়ে আসার পর থেকে তার
ফোনের অপেক্ষা করছিলাম । দুই দিন পরে পার্শ্ববর্তী এলাকা কুপের হাট সেখানে
ইসলামি তাফসির হচ্ছিল। আর আমি সেখানে তাফসির শুনতে
গেছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর আমার ফোনে আননোন নাম্বার থেকে ফোন
আসে। কলটি রিসিভ করার পর সালাম দিয়ে বলছে আমি চাঁদনি। চাঁদনী নাম
শুনে তো আমি অনেক খুশি। কিন্তু মাইকের আওয়াজের কারণে তার কথা স্পষ্ট ভাবে
বুঝতে পারছিলাম না। তাকে বললাম, আমি এখন তো তাফসীরে আছি তোমার কথা কিছুই
বুঝতে পারছি না, কাল সকালে তোমাকে ফোন দিব। এ কথা বলে ফোন কেটে দেয়ার পর, আমি
তো মনে মনে অনেক খুশি। দেন সকাল হলো ফোন দিলাম অনেক কথা বললাম। এভাবে
আমাদের প্রেমের শুরুটা হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিদিন একসাথেই
যেতাম। চাঁদনী স্কুল যেত আর আমি কম্পিউটার সেন্টারে। এইভাবে অনেকদিন
কেটে গেল এখন সে আমাকে অনেক ভালোবাসে এবং আমিও তাকে অনেক ভালোবাসি। প্রায়
চার মাস পার হয়ে যাবার পর তার ফ্যামিলি আমাদের সম্পর্কের কথা জেনে
নিয়েছিল। তারপর হঠাৎ করে একদিন শুনলাম তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। তাকে আর
বাড়ি থেকে বের হইতে দেয় না, ফোনটাও কেড়ে নিয়েছে। এই সিচুয়েশনে বুঝতে
পারছিলাম না আমি কি করবো। তারপরও আমি তার বাড়ির সামনে দিয়ে যায় কিন্তু তাকে
আর দেখতে পাই না। তারপরেরদিন রাতে হঠাৎ করে সে ফোন দিয়েছে অন্য নাম্বার
থেকে। ফোন দিয়ে অনেক কান্না করছে আর বলছে কাল আমার বিয়ে। এটা শুনে
তো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল, কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। সে কান্না করছে
আর বলছে চলো পালিয়ে যাই। সে মুহূর্তে ব্রেনেও কাজ করছে না কি করব। কাউকে
বলতেও পারছি না। চোখ দিয়ে এমনি এমনি পানি বের হয়ে আসলো। তখন আমি কিছুই
করতাম না, তাকে নিয়ে পালানোর মতো টাকা আমার কাছে ছিল না। তারপর অনেকক্ষণ
ভাবলাম, ভেবেচিন্তে বললাম দেখো আমি কিছুই করি না তোমাকে নিয়ে গিয়ে
কি খাওয়াব আর কোথায় রাখব। সে বলল, তোমার কিছুই নেয়া লাগবেনা,যা
নেয়ার আমি নিচ্ছি তুমি শুধু বের হয়ে আসো। আমি বললাম না তোমাকে কিছু নিয়ে
আসতে হবেনা, তুমি যেমনটা ভাবছো ততটা সহজ না, পরিবার যেখানে বিয়ে
ঠিক করেছে সেখানেই বিয়ে করে নাও। আল্লাহ হয়তো এটাই চাই। এটা
বলার সাথে সাথে সে রাগ করে ফোন কেটে দিল। ওটাই আমাদের শেষ কথা
ছিল......।😥
লাইফ স্টাইলঃ
আমার লাইফ স্টাইল সাধারণ একটি লাইফ স্টাইল। আমি একজন সাধারন মানুষ তাই আমি
সাধারন
ভাবেই চলাফেরা করতে ভালোবাসই। জীবন এতটাও সহজ না মানুষ যতটা
ভাবে। আল্লাহতালা মানুষকে অনেক রকম ভাবে পরীক্ষা করে থাকে, কাউকে ধন-সম্পদ
দিয়ে আবার কাউকে রাস্তার ভিখারি বানিয়ে। আল্লাহ ধনী ব্যক্তিকে ধন-সম্পদ
দিয়ে পরীক্ষা করে, যে ধন-সম্পদ পাওয়ার পরে সে কি করে। ধন-সম্পদ পেয়ে কি তার
অপব্যবহার করেছে কিনা, মানুষের সাথে কেমন ব্যবহার করেছে,ধনসম্পদ নিয়ে অহংকার
করেছে কিনা, ধন-সম্পদের কতটুকু মর্যাদা রাখতে পেরেছে, ধনসম্পদ গুলো কোথায়
কোথায় ব্যয় করেছে, ধন সম্পদের যাকাত ঠিকমতো প্রদান করেছে কিনা ইত্যাদি। এগুলো
দিয়ে আল্লাহতায়ালা সেই ধনী ব্যক্তিদের পরীক্ষা করে থাকেন। আর রাস্তার ভিখারীকে
কিছু না দিয়ে পরীক্ষা করে। যতটুকু পেয়েছে ততটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট
কিনা। তার কাছে কিছু না থাকা সত্ত্বেও সে ধৈর্য ধরে জীবন পরিচালনা করতে
পারে কিনা। সে কতটুকু বিশ্বাস রাখতে পারে আল্লাহতালার উপর। রাস্তার
ভিখারির ধৈর্য পরীক্ষা করে থাকেন আল্লাহ তায়ালা। তাইতো যে যে অবস্থানে
আছি সেখান থেকেই সবাই শুকরিয়া আদায় করে আলহামদুলিল্লাহ বলি। কারণ
আল্লাহতায়ালা যতোটুক দিয়েছেন যথেষ্ট দিয়েছেন। প্রতিটি মানুষকে তার নিচু
শ্রেণীর মানুষগুলোকে দেখতে হয়। তারা কিভাবে বসবাস করছে আর আমি কিভাবে বসবাস
করছি। তাহলে বুঝবেন জীবন কতটা কঠিন। তাই সবাই শুকরিয়া আদায় করে আল্লাহ
তাআলার ইবাদত করি এবং সাধারণভাবে জীবন যাপন করি।
Thanks all